'মেন্টাল'-এর পর 'অস্তিত্ব'-হাতে আছে আরো ১৫টি ছবির প্রস্তাব। মূলধারার চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে নিজেকে আমূল বদলে ফেলেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা।
অনেক দিন ধরেই মূলধারার নাচ-গানের ছবিতে তিশাকে চাইছেন নির্মাতারা। শাকিব খানের বিপরীতে 'মেন্টাল'-এ অভিনয় করার পর তিশার প্রতি সেই আগ্রহটা বেড়েছে দ্বিগুণ। তিশার প্রতি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একটাই অভিযোগ-'এত বেশি নাটকে অভিনয় করেন তিনি, টিভি খুললেই তাঁকে পাওয়া যায়। দর্শকরা টিকিট কেটে কেন তাঁকে দেখবেন?'
দেরিতে হলেও এসব অভিযোগ আমলে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী-'এবারের ঈদে মাত্র চারটি নাটকে দেখা যাবে আমাকে। কয়েকটি ধারাবাহিকের প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছি। শুধু তাই নয়, টেলিভিশনের ঈদের প্রোগ্রামগুলোও এড়িয়ে যাচ্ছি।'
তাহলে কি একেবারেই ছেড়ে দেবেন টিভি নাটক? 'না না! তা কেন হবে? ১০ বছর টানা অভিনয় করেছি টিভি নাটকে, ভালো-মন্দ ভাবার সময় অতটা পাইনি। এবার থেকে সেটা ভাবতে চাই।' বলেন তিশা।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ছবি 'থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার' ও 'টেলিভিশন'-এ অভিনয়ের পরই অন্য প্রযোজক-পরিচালকরা প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিশাকে। তিনি তখন রাজি হননি। সময় চেয়ে নিয়েছেন। 'টেলিভিশন'-এর দুই বছর পর যুক্ত হলেন 'মেন্টাল'-এ। 'এই দুই বছর প্রচুর বাংলা ছবি দেখেছি। শাবনূর, মৌসুমী থেকে শুরু করে অপু বিশ্বাস, বিদ্যা সিনহা মীম, আঁচল-সবার অভিনয় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছি। সিনেমায় দর্শকরা কী ধরনের গল্প পছন্দ করে, নায়িকারা কোন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে সফল, তার খবরও নিয়েছি। ঠিক করেছি কম কাজ করব। কিন্তু কাজগুলো যেন ভালো মানের হয় সেদিকে খেয়াল রাখব।' বললেন তিশা।
এরই মধ্যে 'মেন্টাল'-এর টিজার এসেছে ফেসবুক-ইউটিউবে। শাকিবের সঙ্গে তাঁর পর্দা রসায়ন দারুণ জমেছে, ফেসবুকে মতামতের ঘরে এমন মন্তব্যই বেশি করেছে দর্শক। তিশাও সেটা মনে করেন। বলেন, 'শাকিব খান অনেক বড় তারকা। কো-আর্টিস্টকে দারুণ সহযোগিতা করেন। দুজন শুটিংয়ের ফাঁকে চুটিয়ে আড্ডাও দিয়েছি। ফলে ক্যামেরার সামনে কোনো জড়তা কাজ করেনি।'
সম্প্রতি অনন্য মামুনের 'অস্তিত্ব'তে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তাঁর বিপরীতে আছেন আরেফিন শুভ। দুই সপ্তাহ ধরে ছবিটির জন্য কখনো ফটোশুট, কখনো রিহার্সাল করছেন। ছবিতে নিজের চরিত্রটি নিয়ে বেশ আশাবাদী তিশা-'এখানে অভিনয় দেখানোর বেশ সুযোগ রয়েছে। সেটাকে কাজে লাগাতে চাই। পরিচালক আমাকে পাণ্ডুলিপি বুঝিয়ে দিয়েছেন। এখন সেটা নিয়েই সময় কাটছে।' চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়েই শাকিবের সঙ্গে তাঁর রসায়নটা জমেছে, কিন্তু শুভর সঙ্গে তিশার রসায়ন অনেক পুরনো। দুজন ভালো বন্ধু। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন। এ মুহূর্তে তিশার হাতে ১৫টির মতো নতুন ছবির প্রস্তাব। প্রতিটিই বড় বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের। পরিচালকরাও নামকরা। এরই মধ্যে 'এ প্লাস বি' ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খবর বেরিয়েছে। শুধু তাই নয়, ছবির গল্পও নাকি তাঁর লেখা। এই খবরে বিচলিত তিশা-'ছবিটিতে এখনো চুক্তিবদ্ধ হইনি। পরিচালকের সঙ্গে কথা হয়েছে, সেটাও সৌজন্যমূলক। আর এতেই খবর রটে গেল এই ছবির গল্পকার আমি, নায়িকা আমি! বিপরীতে শাকিব খানও নাকি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন! এটা কেমন কথা?'
চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে এসে নিজেকে অনেকখানিই বদলেছেন। মেকআপ, গেটআপ থেকে শুরু করে অভিনয়েও পরিবর্তন এনেছেন। বলেন, 'ছোট পর্দায় আমরা যেভাবে সংলাপ বলি, বড় পর্দায় সেটা চলে না। এখানে সংলাপ বলতে হয় জোরে। অভিনয়ের এক্সপ্রেশনটাও ভিন্ন। তা ছাড়া লাইটের পার্থক্যও খেয়াল করেছি। ফলে মেকআপ, হেয়ার স্টাইল, কস্টিউম-সব নিয়েই ভাবতে হয়।'
চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা নিয়েও আশাবাদী তিশা। বড় শহরগুলোতে সিনেপ্লেক্স তৈরি হচ্ছে। এটাকে সবুজ সংকেতই মনে করছেন তিনি। 'আমি সঠিক সময়েই চলচ্চিত্রে পা রেখেছি। নিজেকে ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। নতুন প্রজন্মের পরিচালকরা এখন ব্যস্ত। গল্প, চিত্রনাট্যেও রয়েছে নতুনত্ব। শিগগিরই পাল্টে যাবে আমাদের চলচ্চিত্রাঙ্গন।'
অনেক দিন ধরেই মূলধারার নাচ-গানের ছবিতে তিশাকে চাইছেন নির্মাতারা। শাকিব খানের বিপরীতে 'মেন্টাল'-এ অভিনয় করার পর তিশার প্রতি সেই আগ্রহটা বেড়েছে দ্বিগুণ। তিশার প্রতি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একটাই অভিযোগ-'এত বেশি নাটকে অভিনয় করেন তিনি, টিভি খুললেই তাঁকে পাওয়া যায়। দর্শকরা টিকিট কেটে কেন তাঁকে দেখবেন?'
দেরিতে হলেও এসব অভিযোগ আমলে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী-'এবারের ঈদে মাত্র চারটি নাটকে দেখা যাবে আমাকে। কয়েকটি ধারাবাহিকের প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছি। শুধু তাই নয়, টেলিভিশনের ঈদের প্রোগ্রামগুলোও এড়িয়ে যাচ্ছি।'
তাহলে কি একেবারেই ছেড়ে দেবেন টিভি নাটক? 'না না! তা কেন হবে? ১০ বছর টানা অভিনয় করেছি টিভি নাটকে, ভালো-মন্দ ভাবার সময় অতটা পাইনি। এবার থেকে সেটা ভাবতে চাই।' বলেন তিশা।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ছবি 'থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার' ও 'টেলিভিশন'-এ অভিনয়ের পরই অন্য প্রযোজক-পরিচালকরা প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিশাকে। তিনি তখন রাজি হননি। সময় চেয়ে নিয়েছেন। 'টেলিভিশন'-এর দুই বছর পর যুক্ত হলেন 'মেন্টাল'-এ। 'এই দুই বছর প্রচুর বাংলা ছবি দেখেছি। শাবনূর, মৌসুমী থেকে শুরু করে অপু বিশ্বাস, বিদ্যা সিনহা মীম, আঁচল-সবার অভিনয় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছি। সিনেমায় দর্শকরা কী ধরনের গল্প পছন্দ করে, নায়িকারা কোন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে সফল, তার খবরও নিয়েছি। ঠিক করেছি কম কাজ করব। কিন্তু কাজগুলো যেন ভালো মানের হয় সেদিকে খেয়াল রাখব।' বললেন তিশা।
এরই মধ্যে 'মেন্টাল'-এর টিজার এসেছে ফেসবুক-ইউটিউবে। শাকিবের সঙ্গে তাঁর পর্দা রসায়ন দারুণ জমেছে, ফেসবুকে মতামতের ঘরে এমন মন্তব্যই বেশি করেছে দর্শক। তিশাও সেটা মনে করেন। বলেন, 'শাকিব খান অনেক বড় তারকা। কো-আর্টিস্টকে দারুণ সহযোগিতা করেন। দুজন শুটিংয়ের ফাঁকে চুটিয়ে আড্ডাও দিয়েছি। ফলে ক্যামেরার সামনে কোনো জড়তা কাজ করেনি।'
সম্প্রতি অনন্য মামুনের 'অস্তিত্ব'তে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তাঁর বিপরীতে আছেন আরেফিন শুভ। দুই সপ্তাহ ধরে ছবিটির জন্য কখনো ফটোশুট, কখনো রিহার্সাল করছেন। ছবিতে নিজের চরিত্রটি নিয়ে বেশ আশাবাদী তিশা-'এখানে অভিনয় দেখানোর বেশ সুযোগ রয়েছে। সেটাকে কাজে লাগাতে চাই। পরিচালক আমাকে পাণ্ডুলিপি বুঝিয়ে দিয়েছেন। এখন সেটা নিয়েই সময় কাটছে।' চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়েই শাকিবের সঙ্গে তাঁর রসায়নটা জমেছে, কিন্তু শুভর সঙ্গে তিশার রসায়ন অনেক পুরনো। দুজন ভালো বন্ধু। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন। এ মুহূর্তে তিশার হাতে ১৫টির মতো নতুন ছবির প্রস্তাব। প্রতিটিই বড় বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের। পরিচালকরাও নামকরা। এরই মধ্যে 'এ প্লাস বি' ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খবর বেরিয়েছে। শুধু তাই নয়, ছবির গল্পও নাকি তাঁর লেখা। এই খবরে বিচলিত তিশা-'ছবিটিতে এখনো চুক্তিবদ্ধ হইনি। পরিচালকের সঙ্গে কথা হয়েছে, সেটাও সৌজন্যমূলক। আর এতেই খবর রটে গেল এই ছবির গল্পকার আমি, নায়িকা আমি! বিপরীতে শাকিব খানও নাকি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন! এটা কেমন কথা?'
চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে এসে নিজেকে অনেকখানিই বদলেছেন। মেকআপ, গেটআপ থেকে শুরু করে অভিনয়েও পরিবর্তন এনেছেন। বলেন, 'ছোট পর্দায় আমরা যেভাবে সংলাপ বলি, বড় পর্দায় সেটা চলে না। এখানে সংলাপ বলতে হয় জোরে। অভিনয়ের এক্সপ্রেশনটাও ভিন্ন। তা ছাড়া লাইটের পার্থক্যও খেয়াল করেছি। ফলে মেকআপ, হেয়ার স্টাইল, কস্টিউম-সব নিয়েই ভাবতে হয়।'
চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা নিয়েও আশাবাদী তিশা। বড় শহরগুলোতে সিনেপ্লেক্স তৈরি হচ্ছে। এটাকে সবুজ সংকেতই মনে করছেন তিনি। 'আমি সঠিক সময়েই চলচ্চিত্রে পা রেখেছি। নিজেকে ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। নতুন প্রজন্মের পরিচালকরা এখন ব্যস্ত। গল্প, চিত্রনাট্যেও রয়েছে নতুনত্ব। শিগগিরই পাল্টে যাবে আমাদের চলচ্চিত্রাঙ্গন।'