মা জাতি সম্মানি জাতি। মায়ের তুলনা একমাত্র মা। মাকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানোর নির্দিষ্ট কোনো দিন নেই। মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রতি মুহূর্তের। সারাবছর মায়ের হক আদায়ে বেখবর, আর ৮ মে, ‘মা দিবস’ এলেই মায়ের প্রতি আবেগের ভালবাসা ঢেলে দেয়া অযৌক্তিক? বছরে একবার ঢোলঢাল পিঠিয়ে ভালবাসা প্রকাশ এটা ইসলাম সমর্থন করে না। মাকে ভালবাসতে হবে সমসময়ই। মাকে যথাযথ সম্মান ও ভালবাসার কথা স্বয়ং কুরআনুল কারীমে আল্লাহপাক নির্দেশ দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহপাক বলেন, ‘তোমরা কেবলমাত্র তারই ইবাদত করবে এবং পিতা মাতার সাথে সদ্বব্যবহার করবে। যদি তাদের মধ্যে একজন কিংবা দুজনই তোমার নিকটে বৃদ্ধ বয়সে উপনিত হয়ে যান তখন তাদেরকে ‘উফ’ শব্দও বলবে না এবং তাদেরকে ধমও দিবে না। আর তাদের জন্য দয়ার মধ্য থেকে নম্রতার বাহু ঝুঁকিয়ে দাও। আর তাদের জন্য দোয়াস্বরপ একথা বলবে, রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানী ছগীরা’। (হে আমার পালনকর্তা! তাদের দুজনের ওপর এরকম দয়া কর যেরকম তারা আমাকে ছোট বেলায় লালন পালন করেছিলেন) (-সুরা বনি ইসরাইল:২৩-২৪)
অন্যত্র আল্লাহপাক বলেন,‘আমি মানুষকে বিশেষ তাগিদ দিয়েছি তার পিতামাতার সাথে সদয় ব্যবহার করার। তার মা তাকে (গর্ভে) রেখেছে এবং তাকে দুধপান ছাড়ানোর সময় দিয়েছে ত্রিশ মাস। পরিশেষে যখন সে পূর্ণশক্তিতে পৌছে যায় এবং চল্লিশ বছর বয়সে উপনীত হয় তখন সে যেন বলে হে আমার পালনকর্তা আপনি আমাকে শক্তি দান করুন যাতে আমি আপনার সেই সম্পদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি যা আপনি আমাকে এবং আমার মাতাপিতাকে পুরষ্কার দিয়েছেন। আর আমি যেন এমন ভালো কাজ করতে পারি যা আপনি পছন্দ করেন। আর আমার সন্তান সন্তুতিদের মধ্যেও আপনি ওই যোগ্যতা দান করুন। আমি আপনার কাছেই ফিরে এসেছি এবং আমি আপনার কাছে আত্মসমর্পণকারিদের মধ্যেও রয়েছি। (সূরা আহক্বাফ: ১৫)
মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা, মায়া, মমতা, ভালোবাসা ও দায়িত্বশীলতা প্রদর্শন একটি বিশেষ দিনের জন্য নয়; বরং তা প্রতিদিনের জন্য। মায়ের প্রতি আনুগত্য, মায়ের খেদমত, মায়ের হক আদায় ও বৃদ্ধাবস্থায় সেবা-যত্ন করা এবং পরকালীন মুক্তির জন্য দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করা আমাদের সবার একান্ত কর্তব্য।